লক্ষ্মীপুরে যুবকের প্রেমের টানে ইতালি থেকে ছুটে আসলেন তরুণী। ঘটনাটি লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুরের।
অই উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাপুর
গ্রামের বাসিন্দা ইকবালের বাড়িতে। ইকবাল অই গ্রামের ওসমান আলী পাটোয়ারী বাড়ির আক্তার হোসেনের ছেলে।
ইকবালের পরিবার থেকে জানা যায়,গত ছয় বছর পূর্বে
ইকবাল ইতালিতে গিয়েছিল এবং ওই তরুণীদের একটি কোম্পানিতেই চাকরি করতেন ইকবাল। সেই সূত্রে অই তরুনীর সাথে ইকবালের পরিচয় হয় এবং সেই পরিচয় থেকে দুজন দুজনার প্রেমে পরেন ।
তারপর গত দুই বছর পূর্বে ইকবাল দেশে চলে
আসেন। পরে কাগজপত্রের কিছু সমস্যার কারণে ইকবাল পরবর্তীতে আর ইতালিতে যেতে পারছিলো না। তবে ওই তরুণী মোবাইলের মাধমে এবং ফেসবুকের মাধ্যমে
প্রেমের সম্পর্ক অটুট রাখেন।
আর সেই যোগাযোগের মাধ্যমেই ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে ওই তরুণী ইতালি থেকে রায়পুরে ইকবালের গ্রামের বাড়িতে
চলে আসেন। এরপর তরুণী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে শরিয়াহ অনুযায়ী তাদের দুজনের বিয়ে দেয়া হয় এবং অই তরুনীর নতুন নাম রাখেন খাদিজা বেগম। রায়পুর উপজেলার নতুন বাজার এলাকায় তাদের দুজনের বিয়ের অনুষ্ঠান করেছিলো।
ইতালি তরুনী খাদিজা জানান তার ভাষায়,
বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও পরিবেশ তার অনেক পছন্দ এবং খুবই ভালো লেগেছে।খাদিজা জানান ইকবাল কে সে অনেক ভালোবাসেন যার কারনে তার দেশ ইতালি থেকে ইকবালের কাছে চলে এসেছেন। খাদিজা তাদের দুজনের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।
তাদের এই বিয়ের খবর স্থানীয় এবং ফেসবুকসহ নানাভাবে ছড়িয়ে পড়লে অই ইতালি তরুনীকে দেখতে ২৮ফেব্রুয়ারি সারাদিন দূর-দূরান্ত থেকে ইকবালের বাড়িতে বহু মানুষ ছুটে আসে। পরে অই দিন সন্ধায় ইকবাল এবং খাদিজা হানিমুনের উদ্দেশ্যে কক্সবাজার চলে যান।কক্সবাজার থেকেই মালয়েশিয়ায় যাইয়ার কথা রয়েছে এই নব দম্পতির।
ইকবালের পরিবারের কাছে তরুনীর আগের নাম জানতে চাইলে ইকবালকে ফোন করে কিন্তু ফোন বন্ধ পাওয়ায় আগের নাম জানাতে পারেনি তার পরিবার। এসময় ইকবালের বাবা তার ছেলে এবং পুত্রবধূ এর জন্য দোয়া চান এবং আরো বলেন,বাংলা ভাষা নিয়ে একটু সমস্যা হলেও স্বাভাবিক বাঙ্গালী নারীদের মতোই সব কাজ করেন খাদিজা। ছেলের বউ দেখে তারা খুবই খুশি এবং তাদের সুন্দর ভবিষ্যৎ কামনা করেন।
দুই পরিবারই এই প্রেমের সম্পর্কটি মেনে নেওয়ায় তাদের এই বিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রায়পুর উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের
সাধারণ সম্পাদক । ইকবালের পরিবারও সকল কিছু মেনে তাদের পূত্রবধুকে ঘড়ে তুলে নেন।