সদর উপজেলার রায়াপাশা-কড়াপুর ইউনিয়নের এক নারী শ্রমিককে (২২) বাসার সামনে থেকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ দুই ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে। পাশাপাশি এক সন্তানের জননী নির্যাতিতা নারীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে বিমানবন্দর থানার ওসি (তদন্ত) লোকমান হোসেন মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে জানান, উত্তর কড়াপুর এলাকার বাসিন্দা ওই নারী বরিশাল শিল্প নগরীর একটি সু-কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। একই এলাকার মোহাম্মদ খানের ছেলে মিরাজ খান প্রায়ই ওই নারীকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো।
তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৩ মে রাত দশটার দিকে কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পথে মিরাজ তার সহযোগি ইমরান খান, মামুন হাওলাদারসহ অজ্ঞাতনামা আরও একজনকে নিয়ে বাসার পাশ থেকে মুখ চেঁপে ওই নারীকে তুলে নিয়ে যায়।
তারা পাশ্ববর্তী রুস্তুম আলীর নির্জন জমিতে নিয়ে ওই নারীকে গণধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে বিষয়টি ধামাচাঁপা দিতে নির্যাতিতা নারীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এ সময় ডাক-চিৎকার করে নির্যাতিতা দৌঁড়ে পালিয়ে জীবন রক্ষা করেন।
ওসি (তদন্ত) লোকমান হোসেন আরও জানান, এ ঘটনায় ভূক্তভোগী নারী বাদি হয়ে মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত মিরাজ ও মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনার সাথে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে।