বরিশালের আগৈলঝাড়ায় পর্ণোগ্রাফি মামলায় প্রধান অভিযুক্তর পরে এবার এক সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. আলী হোসেন জানান, রবিবার রাতে মামলার ২নং আসামী ভালুকশী গ্রামের মৃত কাজী আব্দুর রশিদ এর ছেলে কাজী সাহাদাৎ হোসেনকে (৬০) অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃত সাহাদাৎ প্রধান আসামী কাজী বিফোর এর সম্পর্কে চাচাতো দাদা। গ্রেফতারকৃতকে সোমবার দুপুরে বরিশাল আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
থানা অফিসার ইন চার্জ মো. গোলাম ছরোয়ার জানান, ভালুকশী গ্রামের বিয়ে দেয়া এক মেয়ে (১৯) তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসে ৩ জুলাই দুপুরে বাড়ির পুকুরে গোসল করতে যায়।
এসময় একই বাড়ির কাজী আজাদের ছেলে গৃহবধুর চাচাতো ভাই কাজী ফিরোজ (২২) গোপনে ওই গৃহবধুর নগ্ন ভিডিও ধারণ করে। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে বখাটে ফিরোজ তার চাচাতো বোনকে বিভিন্ন কু-প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করে আসছিলো।
বখাটে ফিরোজ ওই দিন রাতে গৃহবধুর ম্যাসেঞ্জারে ওই গৃহবধূকে নগ্ন ভিডিও পাঠিয়ে রাতে ফিরোজ এর সাথে একা দেখা করতে বলে। গৃহবধু তাতে রাজি না হওয়ায় ফিরোজ ওই নারীর ম্যাসেঞ্জারে ফোন দিয়ে তার কাছে ২লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। দাবিকৃত টাকা না দিলে তার অশ্লীল ভিডিও ইন্টারনেটের ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়।
বিষয়টি ওই গৃহবধু তার স্বামী ও বাবার পরিবারের লোকজনকে জনালে অভিযুক্ত ফিরোজ এর পরিবারের কাছে বিচার দাবি করে। তারা কোন বিচার না করে বরং ফিরোজ এর ধারণ করা নগ্ন ভিডিও গোপন করার চেষ্টা করে।
এঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধু ফিরোজকে প্রধান অভিযুক্ত করে ৪ জুলাই রাতে ২০১২সালের পর্ণোগ্রাফি আইনের ৮(১)/৮(২)৮(৩)/৮(৭) ধারায় মামলা দায়ের করে, নং-৪ (৪.৭.২৩)।
ওই মামলায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে রবিবার রাতে কাজী সাহাদাৎকে গ্রেফতার করেছেন। এর আগে মামলার প্রধান অভিযুক্ত ফিরোজকে মামলা দায়েরের রাতেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত সাহাদাৎ কাজীকে সোমবার দুপুরে বরিশাল আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।