বরিশালের আগৈলঝাড়ায় এক নববধুর লা’শ উ’দ্ধার করেছে পুলিশ। এঘটনায় নববধুর ভাই বাদী হয়ে স্বামীসহ ৫জনকে আ’সামী করে মা’মলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে স্বামী, শ্বাশুরী, দেবরকে গ্রে’ফতার করেছে।
থানায় দায়ের করা এজাহারের বরাত দিয়ে মা’মলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মিজান জানান, উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের কোদালধোয়া গ্রামের কালীপদ বালার ছেলে আকাশ বালার সাথে গত ছয় মাস পূর্বে পাশ্ববর্তি গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার লাখন্ডা গ্রামের নি’ত্যানন্দ মন্ডলের মেয়ে লতিকা মন্ডলের (২০) সামাজিকভাবে বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকে স্বামী ও শশুর পরিবারের লোকজন বিভিন্ন অযু’হাতে নববধু লতিকার সাথে অশোভন আচরন করা শুরু করে। এক পর্যায়ে তাদের খারাপ আচরণ ও মানসিক নি’র্যাতনের কারণে বাধ্য হয়ে বুধবার রাতে ঘরে থাকা কীটনাশক পান করে লতিকা।
মু’মূ’র্ষ অবস্থায় লতিকাকে উ’দ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নিলে সেখানে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চিকিৎসকেরা লতিকাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
তবে লতিকার স্বামী ও তার পরিবার সদস্যরা লতিকাকে বরিশাল না নেয়ায় বুধবার রাতে উপজেলা হাসপাতালে নববধু লতিকা মা’রা যায়। খবর পেয়ে ওসি (তদ’ন্ত) মাজহারুল ইসলাম ও এসআই মিজানুর রহমান হাসপাতাল থেকে নববধু লতিকার লা’শ উ’দ্ধার করেন এবং বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন।
এঘটনায় নববধু লতিকার ভাই বিমল মন্ডল বাদী হয়ে তার বোনকে আ’ত্মহ’ত্যার প্ররোচনার অভিযোগে স্বামী আকাশ বালা, শ্বাশুরী শুশীলা বালা, দেবরসহ ৫জনের বিরু’দ্ধে থানায় মা’মলা দায়ের করেন।
মা’মলা দায়েরের পরে মা’মলার তদ’ন্তকারী র্ককর্ততা এসআই এসআই মিজান বৃহস্পতিবার দুপুরে কৌশলে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত স্বামী আকাশ, শ্বাশুরী শুশীলা ও দেবর পলাশসহ তিন জনকে গ্রে’ফতার করেছে।সববধু লতিকার লা’শ ময়না তদ’ন্তের জন্য ম’র্গে প্রেরণ করা হবে বলেও জানান এসআই মিজান।
অন্যদিকে বাগধা ইউনিয়নের আমবৌলা গ্রামের জালাল খানের স্ত্রী নাসিমা খানের দায়ের করা যৌ’তুক মা’মলায় অভিযু’ক্ত স্বামী ওই গ্রামের হেলাল খানের ছেলে জালাল খানকে মা’মলার তদ’ন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জসীম উদ্দিন বৃহস্পতিবার গ্রে’ফতার করেছে।