বিএডিসি’র অব্যবস্থাপনার কারনে সময় মতো সরকারের প্রনোদনার রবি শস্যর বীজ চাষীরা না পাওয়ায় বরিশালের আগৈলঝাড়ায় রবি মৌসুমের চাষাবাদ ব্যহত হয়ে চাষাবাদে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে কৃষকেরা। রবি শস্যর চাষাবাদ ও উৎপাদন নিয়ে চরম আশংকা দেখা দিয়েছে কৃষকের মনে ও কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের কর্মকর্তাদের।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী এক ইঞ্চি জায়গাও অনাবাদী না রাখতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে উপজেলা পর্যায়ে কৃষি অফিস। তবে প্রধানমন্ত্রীর সেই ঘোষণা বাস্তবায়ন হচ্ছে না বিএডিসি’র সময়মত বীজ সরবারহ না করার কারনে।
রবি শষ্য আবাদে মার খাচ্ছে কৃষকেরা। এলাকার কৃষক সোলোমান মোল্লা, হালিম সরদার, শহিদুল ইসলামসহ অনেকেই জানান, অক্টোবর থেকে শুরু করে নভেম্বর মাস পর্যন্ত উপজেলায় ৫টি ইউনিয়নে সূর্যমূখী, ভুট্টা,
শরিসা ও চিনাবাদাম বীজ রোপনের উপযুক্ত সময় হলেও এখন পর্যন্ত সরকারের এসব প্রনোদনার বীজ আগৈলঝাড়া কৃষি অফিসে এসে পৌঁছায়ন। উল্লেখিত বীজ সময়মত বিএডিসি সরবরাহ না কৃষকেরা এখনো মাঠ তৈরী করেও তারা বীজ বুনতে পারছে না।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলছি বছর সূর্যমুখী, ভুট্টা ও চিনাবাদাম চাষের জন্য ২৫জন কৃষকের জন্য ১০কেজি করে চিনাবাদাম, ৫০জন কৃষকের জন্য দুই কেজি করে ভুট্টা ও ৮০জন কৃষকের মাঝে
এক কেজি সূর্যমুখী বীজ বরাদ্দের কথা থাকলে এখন পর্যন্ত আগৈলঝাড়া কৃষি অফিসে কোন বীজ এসে পৌঁছায়নি। প্রতিদিনই কৃষকরা এসব শস্যের বীজের জন্য কৃষি অফিসে ধরনা দিচ্ছেন।
এ ব্যপারে উপজেলা কৃষি অফিসার দোলন চন্দ্র রায় সাংবাদিকদের বলেন, রবি মৌসুমের এই শস্য বীজের জন্য সার আসলেও এখন পর্যন্ত কোন বীজ আসেনি। বিএডিসি’তে বার বার জানানোর পরেও কোন কাজ হয়নি। সময়মত বীজ না পেলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হবেন বলেও জানান তিনি।
বরিশাল বিএডিসির উপ-পরিচালক (বীজ) মো. রমিজুর রহমান বলেন, এই বীজের ব্যপারে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। আগামী সপ্তাহে উপজেলা পর্যায়ে কৃষকদের মাঝে বীজ পৌঁছানো হবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।