ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাঁপা দেওয়ার জন্য ভ’য়ভীতি দেখিয়ে তিনটি সাদা ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর আদায়। পরবর্তীতে নির্যা’তিতার হাতে জোরপূর্বক টাকা দিয়ে ছবি তুলে আবার টাকা রেখে দেওয়ার পর এবার থানায় দায়ের করা ওই কলেজ ছাত্রীর অভিযোগ প্র’ত্যাহারের জন্য বিভিন্ন ধরনের হু’মকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার আশোকাঠী গ্রামের। বুধবার সকালে একই উপজেলার বাসিন্দা নার্সিং পড়ুয়া নির্যা’তিতা কলেজ ছাত্রী অভিযোগ করেন, আশোকাঠী হাসপাতালের সামনের একটি ফার্মেসীতে ওষুধ ক্রয় করতে গিয়ে তার সাথে পরিচয় হয় আশোকাঠী গ্রামের হাসান সরদারের পুত্র ফার্মেসী মালিক কাওসার হোসেনের।
পরবর্তীতে ফার্মেসী মালিক কাওসার তাকে (ভুক্তভোগী ছাত্রী) প্রেমের ফাঁ’দে ফেলে বিয়ের প্রলোভনে বিভিন্নস্থানে নিয়ে একাধিকবার ধ’র্ষ’ন করে। পরবর্তীতে সে বিয়ের জন্য চাঁপ প্রয়োগ করলে কাওসার নানা তালবাহানা শুরু করে। নির্যাতিতা ছাত্রী আরও জানান,
গত ২৭ জুন তাকে আশোকাঠী হাসপাতালে ডেকে নেয় কাওসার। পরবর্তীতে স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি ভ’য়ভীতি দেখিয়ে তিনটি সাদা ষ্ট্যাম্পে তার (ছাত্রীর) স্বাক্ষর আদায় করে।
পরবর্তীতে তার হাতে জোরপূর্বক ১৫ হাজার টাকা দিয়ে ছবি তুলে পূণরায় টাকা রেখে দেয়। এ ঘটনায় তিনি (নির্যা’তিতা) বাদি হয়ে গৌরনদী মডেল থানায় মা’মলা দায়েরের জন্য একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন
এতে ক্ষি’প্ত হয়ে ধ’র্ষ’ক কাওসারের সহযোগিরা অভিযোগ প্রত্যাহার করা না হলে তার আপত্তিকর ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হু’মকি প্রদর্শন করে।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি আফজাল হোসেন জানান, বুধবার সকালে নি’র্যাতিতার লিখিত অভিযোগ মা’মলা হিসেবে গ্রহণ করে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি আ’সামিদের গ্রে’ফতারের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে।