বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ৫০ শয্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সোমবার রাতে চিকিৎসাধীন এক শিশু অপহরণ করে পালিয়ে যাবার সময় অপহৃতা শিশুসহ হাতে নাতে ধরা পরেছে অপহরণকারী চক্রের সংঘবদ্ধ এক কিশোরী।
এ সময় অপহরনকারী দলের অপর ২/৩জন সহযোগী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। এ ঘটনায় অপহৃতা শিশুর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে পুলিশ ওই মামলায় আটক অপহরণকারী কিশোরীকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করেছে। গ্রেফতারকৃত কিশোরী লামিয়া আক্তার (১৬) একই উপজেলার নগরবাড়ি গ্রামের রিপন খানের মেয়ে।
থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাজহারুল ইসলাম এজাহারের বরাত দিয়ে জানান, উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের রাংতা গ্রামের আলীম ওরফে ইমরান সরদারের দেড় বছরের শিশু কন্যা আফিয়া ইসলাম তাসনিম
ঠান্ডা জনিত কারনে অসুস্থ হয়ে পরলে শিশুর মা লাবনী আক্তারসহ রবিবার শিশুটিকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু আফিয়াকে দ্বিতীয় তলায় ১নং ওয়ার্ডের ২৩নং বেডে ভর্তি করে চিকিৎসা প্রদান করেন।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত ৯.২০ মিনিটে আটক কিশোরীসহ ২/৩জন শিশু আফিয়ার বেডের আশপাশ দিয়ে ঘেরাফেরা করছিলো। রাতে সারে নয়টার দিকে শিশুটি ঘুমিয়ে পরলে তার মা লাবনী আক্তার বাথরুমে যায়। সুযোগে শিশু আফিয়াকে অপহরণ করে লামিয়া।
বাথরুম থেকে ফিরে বিছানায় মেয়েকে দেখতে না পেয়ে লাবনী ডাকচিৎকার শুরু করলে লোকজন দৌড়ে এসে শিশু আফিয়াকে নিয়ে সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় অপহরণকারী লামিয়াকে (১৬) আটক করে।
এসময় লামিয়ার অপর ২/৩সহযোগীরা এসময় কৌশলে পালিয়ে যায়। এর পূর্বে আটক লামিয়া ও তার সহযোগীরা হাসপাতাল থেকে রোগীদের মোবাইল ফোন ও টাকা চুরি করে।
ঘটনা থানা পুলিশকে ঘটনা অবহিত করলে এসআই মিজান হাসপাতালে গিয়ে অপহরণকারী কিশোরী লামিয়া আক্তারকে ওই রাতেই আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
শিশু অপহরণের ঘটনায় আফিয়ার বাবা আলীম সরদার ওরফে ইমরান মঙ্গলবার দুপুরে থানায় মামলা দায়ের করেন, নং-৩(২৯.৩.২২)। ওই মামলায় গ্রেফতারকৃত লামিয়াকে আদালতে প্রেরণ করেছে। ওসি আরও জানান অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।