জেলা প্রশাসকের বরাবরে মাদ্রাসার অধ্যক্ষর বিরুদ্ধে লিখিত আবেদন করা সত্বেও দীর্ঘদিনে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি জেলার মুলাদী উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের চরপদ্মা গ্রামের।
বৃহস্পতিবার সকালে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ আলী ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি মশিউর রহমান সুমন সম্পূর্ণ খামখেয়ালীভাবে প্রায় তিন যুগের ঐতিহ্যবাহী মাদ্রাসার ছাত্র সংসদ ভেঙ্গে দোকান নির্মান কাজ শুরু করেছেন।
ভবনটি ভাঙার খবর পেয়ে প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের বাঁধা প্রদান করেন। শিক্ষার্থীদের বাঁধা উপেক্ষা করে শ্রমিক দিয়ে ছাত্র সংসদের ভবন ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয়।
সফিপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহবায়ক ও মাদরাসার ছাত্র সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক (জিএস) আরিফ মুন্সী জানান, ১৯৪১ সালে চরপদ্মা ইসলামিয়া রাশিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৮০ সালে মাদরাসার ছাত্র সংসদের কার্যক্রম শুরুর পর ১৯৯১ সালে শিক্ষার্থীরা চাঁদা তুলে ছাত্র সংসদ ভবন নির্মাণ করেন। এরপর থেকে ছাত্ররা সংসদের কার্যক্রম ওই ভবনেই পরিচালনা করে আসছে।
তিনি আরও জানান, বহুদিনের পুরোনো ছাত্র সংসদ ভবনটি পুরো এলাকার ঐতিহ্য বহন করে আসছিলো। ছাত্র সংসদটি অনেক সক্রিয় এবং দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করে আসছে।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি দীর্ঘদিন থেকে ছাত্র সংসদ বিলুপ্ত করার চেষ্টা করছেন। তারই ধারাবাহিকতায় ছাত্রদের টাকায় নির্মিত ভবনটি ভেঙে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করা হচ্ছে।
মাদরাসার প্রাক্তন ছাত্র তারেক মুন্সী, মোদাসের কাসিদ ও আব্দুল মালেক বলেন, অধ্যক্ষ ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি নিজেদের খেয়াল খুশি মতো কাজ করছেন।
তারা ছাত্রসংসদ ভবন ভাঙ্গাসহ মাদ্রাসার ফলদ গাছ কেটে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করছেন। এতে সাধারণ শিার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা আরও জানান, পুরো বিষয়টি উল্লেখ করে দ্রুত সরেজমিন পরিদর্শন করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তারা জেলা প্রশাসকের বরাবরে লিখিত আবেদন করেছেন।
এ ব্যাপারে মাদরাসার অধ্য মাওলানা মোহাম্মদ আলী বলেন, ভবনটি পুরোনো হয়ে যাওয়ায় ভেঙ্গে নতুন করে করা হচ্ছে। মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মশিউর রহমান সুমন এ কাজের সাথে তার সম্পৃক্ততা নেই জানিয়ে বলেন, বিষয়টি অধ্যক্ষ ভালো বলতে পারবেন।