বরিশালের আগৈলঝাড়ায় এক মাদ্রাসার শিশু শিক্ষার্থীকে দুই দফা পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
এঘটনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে জেলা প্রশাসককে জানালে আগৈলঝাড়া থানাকে মামলা গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
স্থানীয় ও আহত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের রাংতা জামিয়া দ্বীনিয়া তালিমুদ্দীন নুরানী ও হাফেজিয়া মাদ্রাসার নাজেরা বিভাগের ছাত্র রাংতা গ্রামের ইতালী প্রবাসী আবু কালাম সরদারের ছেলে দ্বীন ইসলামের (১১) মুখের দাত তোলায় শিক্ষকের কাছে পড়া আস্তে বলার অপরাধে দুই দফায় পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন ওই মাদ্রাসার শিক্ষক মাদারীপুর জেলার পশ্চিম খাকদী গ্রামের আব্দুল করিম জমাদ্দারের ছেলে হাফেজ মো. জহিরুল হক।
শিশু শিক্ষার্থী দ্বীন ইসলামের মা সুমী বেগম জানান, গত শুক্রবার আমার ছেলের দাতে ব্যাথা থাকায় তার দাত তোলা হয়।
রোববার দ্বীন ইসলাম মাদ্রাসায় কাস চলাকালে শিক্ষকের দেয়া পড়া আস্তে আস্তে বলার অপরাধে তার ছেলেকে প্রথম দফায় কিল-ঘুসি মেরে আহত করে। পরে শিক্ষার্থীর মা সুমী বেগম আহত ছেলেকে শিক্ষক জহিরুল হককে বলে বাড়ি নিয়ে চিকিৎসা দেয়।
পরদিন সোমবার সকালে দ্বীন ইসলাম মাদ্রাসায় গেলে তার শিক্ষক জহিরুল হক দ্বিতীয় দফায় তার ছেলেকে লাঠি দিয়ে এলোপাথারি পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় শিশু শিক্ষার্থীর চোখেসহ বিভিন্ন স্থানে আঘাত লাগে।
বুধবার সকালে গৌরনদী উপজেলার ভুরঘাটা বাসষ্টান্ডে চোখের চিকিৎসক এমডি ইব্রাহিম খলিলের কাছে আহত শিশু শিক্ষার্থী দ্বীন ইসলামের চিকিৎসা করানো হয়।
আহত শিশু শিক্ষার্থী দ্বীন ইসলাম বাড়ি গেলে তার পরিবার ওই মাদ্রাসার কমিটির সভাপতি, স্থানীয় ইউপি সদস্য, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতিসহ এলাকার গন্যমাণ্য ব্যক্তিদের জানালেও তারা এবিষয়ে কোন কর্নপাত করেনি।
বুধবার বিকেলে আহত শিশু শিক্ষার্থী দ্বীন ইসলামকে নিয়ে তার মা সুমী বেগম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাখাওয়াত হোসেনের কার্যালয়ে গিয়ে অভিযোগ করেন। এসময় ইউএনও তাৎক্ষনিক বিষয়টি বরিশাল জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনকে জানালে তিনি আগৈলঝাড়া থানাকে মামলা গ্রহন করে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়।
অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ মো. জহিরুল হক জানান, শিশু শিক্ষার্থী দ্বীন ইসলামকে তিনি মারধর করেননি এবং তার পায়ের সাথে ধাক্কা লেগে দ্বীন ইসলাম পরে গিয়ে আহত হয়।
এ ব্যাপারে আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীর মা সুমী বেগম অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।