বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় করোনা টিকা না থাকায় বুধবার থেকে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য টিকা প্রদান কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে কতৃপক্ষ।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বখতিয়ার আল মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন টিকা বরাদ্দের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে চিঠি দেয়া হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর জন্ম দিন উপলক্ষে মঙ্গলবার উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে টিকা ক্যাম্পেইনের কার্যক্রম চলে। ওই দিন প্রতি ইউনিয়নে ১ হাজার ৫ শ জন হিসেবে ৫টি ইউনিয়নে মোট ৭ হাজার ৫শ জনকে টিকা
দেয়ার লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু দিন শেষে টিকা প্রয়োগের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৯৩৫১জনে। ওই দিন লক্ষমাত্রার চেয়ে ১৮৫১জনকে বেশী টিকা প্রদান করা হয়েছে।
এদিকে নির্ধারিত দিনে হাসপাতাল কেন্দ্রে টিকা নিতে এসে টিকা না পেয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন টিকা প্রত্যাশী গৈলা গ্রামের মঙ্গল চন্দ্র দাস।
বাগধা গ্রামের মালতী রানী অভিযোগ করে বলেন, নিবন্ধন করার একমাস পর তিনি টিকা গ্রহণের জন্য এসএমএস পেয়ে আসলেও এসে দেখেন টিকা নেই। তার মতো অনেকেই ফিরে যান।
তিনি আরও বলেন, টিকা নেই তাহলে লোকজনকে এসএমএস দিয়ে ডেকে এনে ভোগান্তিতে ফেলার মানে কী ? মঙ্গল, মালতীর মতো যারা টিকা নিতে এসেছিলেন তারা সবাই দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর টিকা না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
বুধবার সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার লোকজন ১ম ও ২য় ডোজের টিকা টিকা গ্রহনের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কেন্দ্রে আসলে তাদের টিকা না থাকায় কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়ে দেন মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (ইপিআই) মিজানুর রহমান।
মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (ইপিআই) মিজানুর রহমান জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকার চালান শেষ হয়ে গেছে, পাশাপাশি বরিশাল জেলা সিভিল সার্জন অফিসের ডিপোতেও বরাদ্দকৃত টিকার মজুত শেষ হয়ে গেছে। একারনে অনির্দ্দিষ্ট সময়ের জন্য টিকা প্রদান কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বখতিয়ার আল মামুন জানান, টিকা শেষ হয়ে যাওয়ায় কেন্দ্রে টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে টিকার বরাদ্দের জন্য সিভিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সার্জনকে পত্র দিয়ে জানানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন- নতুন করে যতদিন টিকা না আসবে ততদিন টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ রাখা ছাড়া কোনো উপায় নেই। তবে স্বল্প সময়ের মধ্যে টিকা বরাদ্দের আশা ব্যাক্ত করেন তিনি।