বরিশালের মুলাদীতে পুরানো প্রেমিকের হাতে নতুন প্রেমিক খু’ন। হ’ত্যাকারীর আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান। হ’ত্যায় ব্যবহৃত ছোড়া, র’ক্তমাখা জামা কাপড়, নি’হত প্রেমিক ইমরানের মোবাইল ফোন উ’দ্ধার করেছে পুলিশ। মুলাদী থানা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের উত্তর বালিয়াতলী গ্রামের গত ২৯ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে প্রেমিকার সাথে দেখা করতে এসে পুরান প্রেমিক যুবরাজের হাতে খু’ন হয় নতুন প্রেমিক ইমরান। গ্রে’ফতারকৃ’ত যুবরাজ একই গ্রামের আলতাফ হোসেন দফাদারের ছেলে। ৩০ এপ্রিল সকালে স্থানীয়রা লা’শ দেখে নি’হত ইমরানের স্বজন ও থানায় খবর দিলে পুলিশ ইমরানের লা’শ উ’দ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার জনকে আ’টক করে।
ইমরান হ’ত্যাকারী যুবরাজ (২৬) উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের উত্তর বালিয়াতলী গ্রামের শাহ আলম খলিফার ছেলে। সে কিশোরগঞ্জে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্সে অধ্যায়নরত।
মুলাদী থানা সূত্রে জানা গেছে, উত্তর বালিয়াতলী গ্রামের এক দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে সাত বছর যাবত যুবরাজ খলিফার প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিলো। সম্প্রতি যুবরাজের সাথে ওই ছাত্রীর প্রেম বিচ্ছেদের পর ওই কলেজ ছাত্রী বিদেশ ফেরত ইমরানের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি যুবরাজ সহজে মেনে নিতে না পেরে কয়েক দফা ইমরানকে হু’মকি দেয়। ওই কলেজ ছাত্রী জানায়, গত ২৯ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে ইমরান তার সাথে দেখা করতে তাদের বাড়িতে আসে। ওই সময় পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা যুবরাজ ও তার সহযোগীরা ইমরানের ওপর হা’মলা চালায়। ইমরান দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। একপর্যায়ে ইমরান পড়ে গেলে যুবরাজ ও তার সহযোগীরা তাকে কু’পিয়ে ও জবাই করে হ’ত্যা করে।
ইমরান হ’ত্যার ঘটনায় তার বাবা আলতাফ হোসেন দফাদার বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা আ’সামি করে ৩০ এপ্রিল রাতে মুলাদী থানায় মা’মলা দায়ের করেন। মা’মলার সূত্র ধরে পুলিশ স্থানীয় ও কলেজ ছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘা’তক যুবরাজকে চিহ্নিত করে এবং গত ১ মে পুলিশ অভি’যান চালিয়ে উপজেলার চরপদ্মা সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ঘা’তক প্রেমিক যুবরাজকে গ্রে’ফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। শনিবার যুবরাজ আদালতে হ’ত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করেছে বলে থানা সূত্র নিশ্চিত করেছে।