তোমার গন্ধ পাই না বহুদিন
____পালকী পাষান
সেদিন রাতের আকাশে
ডেকেছিল মেঘের বাণ,
উপচে পড়া বিরহ
বিয়োগ বিভোর মন
বজ্রপাতে ফুটেছে হৃদয়ের হাহাকার,
অশ্রু সজল নয়নে দেখেছি বারেবার।
ঠোটের কোণে না বলা কথা
বুক চিড়ে বলতে চায়,
কেমন করে এমন আর্তনাদে
তোমার চোখ যে বুজে রয়।
যখনি বলতাম বেদনায় মোর
হৃদয়টা বেশ ভারি,
বুকেতে চাপিয়া ধরে যে মোরে
যন্ত্রণা নিতে কাঁড়ি।
অন্ধকারে ডান মুখে শুয়ে
কেমন করে হায়,
আমারে ভুলিয়া রয়েছো তুমি
নির্জন নিরালায়।
ফযরের আযান শুনি অচেতন
তোমার মুখে চেয়ে,
একবারও বলনি রাত জাগিস না
ঘুমাও এখন গিয়ে।
বেদনা নাশক ঔষধ দিলাম
মৃত্যুর ঠিক আগে
মাতৃস্নেহেই নিলে যে মুখে
ব্যথা যেন না লাগে।
মাগো যদি জানতাম আমি
এই ছিল তোমার মনে
আমিও তো যেতে পারতাম
ঐদিন তোমার সনে।
এত নিষ্ঠুর হইলে কেমন
আমারে ঠেলে দুরে
একাকি কেমন থাকো মাগো
তোমার ছেলেটা ছেড়ে।
যন্ত্রনায় আজও বুকটা মোর
হয়ে উঠেছে ভাড়ি
তোমার ছেলে, চেয়ে আছে পথে
কখন ভাঙবে আঁড়ি।
আমি যে মাগো তোমার গন্ধ
পাইনি বহুদিন
তোমার আঁচল গাঁটে বাঁধা রয়েছে
মোর শত শত ঋন।
ওগো আল্লাহ কি অপরাধে নিলে
ধরনীর জান্নাত কেঁড়ে
কেমন করে উঠান কোঁণে
শুয়ে রয়েছে আমায় ছেড়ে।
মাগো বলে ডেকে জুড়াই না মন
হয়ে গেল কত দিন
কেমন করে শোধিবো মা
তোমার যঠর যাতনার ঋন।
বুকের জমিনে পাথর চেপে আছে
আয় মাগো কাছে আয়
তোমার ছেলে যে কষ্ট পাচ্ছে
পাশে না থাকার বেদনায়।
ভালোবাসি বলা হয়নি কখনো
তাই আমায় একা রাখি
আজন্ম এমন দিস্ না মাগো
তোর ছেলেকে ফাঁকি।
জানিগো মা আসবে না আর
ভেঙে জগতের নিয়ম
আল্লাহর কাছে চাই যে দয়া
তুমি মায়েরে করো রহম।
জান্নাতে মোদের দেখা হলে মা
চিনে নিও ক্ষনকালে
জুড়াবো মনটা, বুকে জড়িয়ে
তোমার স্নেহের আঁচলে।